বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের দ্বিতীয় পর্বের আগে শুরু হয়েছে মধ্যবর্তী দলবদল। যেখানে পয়েন্ট টেবিলে দলকে আরো ভালো অবস্থানে নিতে বিদেশী খেলোয়াড় দলে নেয়ার কথা ভাবছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল।
অন্যদিকে প্রথম পর্ব শেষে টেবিলের নিচের দিকে থাকা ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডানেরও চোখ ভালো মানের বিদেশী ফুটবলারদের দিকেই।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের ২০১৫-১৬ মৌসুম'কে সামনে রেখে অনেকেই বড় বাজেটের দল গড়লেও বেশির ভাগই ছিলো মাঝারি ও কম বাজেটের দল। তবে, এবারের আসরের প্রথম পর্বে বাজেটের অংকের গুরুত্ব মুছে দিয়ে বারবারই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে কম বাজেটের দলগুলো।
তবে প্রতি আসরে যে ক্লাবটি সবচেয়ে বড় বাজেটের দল গড়তো সেই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সবমিলিয়ে সদস্য সংখ্যা মাত্র ২২ জন। যেখানে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বাজেটটাও ছিলো বেশ কম।
প্রথম পর্বে পয়েন্ট টেবিলে আধিপত্য থাকলেও শেষ দিকে এসে ৪ নম্বরে নেমে এসেছে ধানমন্ডির জায়ান্টরা। তাই, দ্বিতীয় পর্বের ভালো ফলাফলের জন্য বিদেশী খেলোয়াড় দলের টানার কথা ভাবছে দলটি।
অন্যদিকে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান কম বাজেটে গড়েছে এ মৌসুমের দল। ভরাডুবি সামলাতে তাদেরও লক্ষ্য ভালো মানের বিদেশী ফুটবলার নিয়োগের।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ম্যানেজার আনোয়ারুল করিম হেলাল বলেন, 'চ্যাম্পিয়ন দলের রিপ্লেসমেন্টের জন্য একটা খেলোয়াড় থাকতে হয় যেটা আমাদের দলে নেই। এখন আমরা চেষ্টা করবো আরো দুইটা বিদেশি খেলোয়াড় আনার জন্য। লোকাল খেলোয়াড়তো সত্যি কথা বলতে বাংলাদেশে নেই।'
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক সারোয়ার হোসেন বলেন, 'সেনেগালের একটা খেলোয়াড় আসছে এবং সে ক্যামেরুনের জাতীয় দলে খেলেছে। আমরা তিনজন খেলোয়াড় পরিবর্তনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছি।'
এদিকে, দলের অবস্থা বিচারে চ্যাম্পিয়নশিপের তকমা ধরে রাখার আশা কিছুটা ফিকে মনে হলেও, এখনো সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি বলে মনে করেন শেখ জামালের ম্যানেজার। অন্যদিকে, মোহামেডানের লক্ষ্য সেরা ৬'য়ের মধ্যে থেকে লিগ শেষ করার।
৩১ অক্টোবর শেষ হবে প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের মধ্যবর্তী দলবদলের সময়সীমা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন